শফিকুজ্জামান শুভ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :
ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভাটি অঞ্চল নামে খ্যাত চাতলপাড়।উপজেলার ১নং ইউনিয়নের চাতলপাড়। চাতলপাড়ের চকবাজারে ছিল সাদেক মিয়ার ওয়ার্কশপের দোকান। সাদেক মিয়া দোকানটি ভাড়া দিয়ে রেখেছিলেন। ভাঙন কাছাকাছি চলে আসায় দোকান ঘরটি তিনি সরিয়ে নিয়েছেন। এখন ভিটা মাটির বেশিরভাগ অংশ নদীগর্ভে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নাসিরনগর উপজেলা। সেখান থেকে নৌকায় করে চাতলপাড় পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা। সরেজমিনে চাতলপাড় গিয়ে ওই বাজারের ভাঙনের দৃশ্য চোখে পড়ে। ঘেমনার ভাঙনের মুখে বাজারটি এখন প্রায় বিলীনের পথে।
বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পূর্ব পর্যন্ত সেখানে অন্তত অর্ধশত কাঁচা-পাকা ভবনের অর্ধেকই নদীগর্বে চলে গেছে। স্থানীয়রা জানায়, আরো শতাধিক ভবন আগেই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে আছে আরো অর্ধশত ভবন ও দোকানঘর।
ভাঙন নিয়ে কথা বলতে চাইলে স্থানীয়রা জানান, ওপারে হাওড়ের ওপর দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্ট্রগ্রাম উপজেলায় সড়ক নির্মাণ, চক বাজারের অনতিদূরে চর জেগে ওঠা এবং একটি ইটভাটার কারণে তীব্র স্রোতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাজারটি ঘুরে ভাঙনরোধের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা আরো জানান, ভিটামাটি হারানো অনেকেই নিঃস্ব হতে চলেছেন। দোকান বসতভিটা নদীতে বিলীন হওয়ায় দুশ্চিন্তায় এস কে শংকর, চিত্ত রায়, জিন্নত আলী, গনেশ রায় বাজারটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাছাড়াও বিলের পাড়ের একটি প্রাচীন পাঞ্জেগানাএক সময়ের কোলাহলপূর্ণ এ বাজারে এখন কেবলই স্তব্ধতা।
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোৌ অাব্দুল অাহাদ বলেন, ইতিমধ্যেই এক থেকে দেড় শ দোকান ও বসতভিটা মেঘনা নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে। ভাঙনরোধ করতে হলে সবার আগে জেগে ওঠা চরটি কেটে দিতে হবে। এছাড়া ইটভাটাও সরিয়ে নিতে হবে।
চাতলপাড়ের ভাঙ্গনের বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে অচিরেই কিছু কাজ করা হবে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড কে অবগত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পরবর্তিতে স্থায়ী সমাধানে কাজ করা হবে বলেও জানান এ সংসদ সদস্য।